সংবাদ শিরোনামঃ
প্রতিদানের আশায় সহযোগিতা করা ও খোঁটা দেওয়া তা কবিরা গুনাহ। ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঢাকা-সাভারগামী ১৭টি বাস আটক জাবি ছাত্রীকে হেনস্তা মালয়েশিয়ায় ঈদের ‘ছুটিতে’ ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘট’নায় ৪.প্রবাসী বাংলাদেশি নিহতও ৪.জন আহত হয়েছে । রমজানকে স্বাগত জানাল গাজা শোক-ক্ষুধা-রক্ত দিয়ে! মানুষের জন্য আল্লাহর পাঠানো তিন উপদেশ ! মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের ১২ বছরের কারাদণ্ড। উত্তরায় গার্ডার পরে প্রাইভেট কার পিষ্ট নিহত ৫ জন। আজকে স্বর্ণের দাম আরও বাড়লো। সিলেট,সুনামগঞ্জ সহ বন্যার্তদের জন্য দেড় কোটি টাকা তোলা সেই গায়ককে পুলিশের ধমক
HUAWEI রাতারাতি সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয় নি, লেগেছে ৩৩ বছর!

HUAWEI রাতারাতি সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয় নি, লেগেছে ৩৩ বছর!

HUAWEI রাতারাতি সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয় নি, লেগেছে ৩৩ বছর ! এই কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়েছিলো ছোট্ট একটা এপার্টমেন্টে আজ সেই কোম্পানির বড় বড় কার্যালয় পৌছে গেছে প্রায়ই ১৭০ টি দেশে।

HUAWEI হয়তো রাতারাতি আজকের অবস্থায় পৌঁছে গেছে কিন্তু অনেকেই জানি না আজকের এই অবস্থানে আসতে লেগেছে গেছে ৩৩ বছর । আগের ৩৩ বছর যে মানুষ তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শী ভাবনার কারণে আজকে একটা অত্যন্ত সফল।টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে তার নাম কি রেন জেংফি  একজন পরীক্ষিত যোদ্ধা তিনি বেশ কঠিন সময় পার করেই এতদূর এসেছেন, দুর্ভিক্ষ বিপ্লব সবকিছু মিলিয়ে তার চলার পথটা ছিল অত্যন্ত অমুসলিমদের ছোট শহরে বেড়ে উঠেছিলেন।

 

সেখানকার মানুষজন ছিল নিতান্তই দরিদ্র তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে তাদের অবস্থা ছিল কিছুটা ভাল,। কারণ তার বাবা-মা দুজনেই ছিলেন, শিক্ষক এক্ষেত্রে অবস্থা ভাল বলতে তার পরিবার যে আহামরি ধন-সম্পদের মালিক ছিল না, এমন তা কিন্তু নয় তারা অন্তত রান্না তরকারিতে লবণ খেতে পারতি এতোটুকু স্বচ্ছলতা ছিল তাদের পৃথিবীর বাইরের জগত

 

সম্পর্কে তেমন কোনো ধারনাই ছিলো পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭৪ সালে তিনি ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে যোগ দিলেন চাইনিজ আরবিতে ,আর পোস্ট দেয়া হলো চীনের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যেখানে ঠান্ডা এতটাই যে যদি পানি ছুড়ে মারা হয় তাহলে তা মাটিতে পড়ার আগেই জমে বরফ হয়ে যায,।

 

কিভাবে কাজ করতে সেখানে তাকে সকলে প্রযুক্তি করে রাখতে তিনি মনে করেছিলেন, একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড জেনারেটর বানাবেন মজার ব্যাপার হচ্ছে তার কাছে ছিল না কোনো অতীত অভিজ্ঞতা ছিল না কোন রেফারেন্স, না ছিলো কোনো গ্রুপিং কিন্তু তিনি নিজের গবেষণার প্রতি ছিলেন অবিচল ।

 

আর দিনশেষে সফল হলেন তবে তিনি আর্মি থেকে অবসর নেয়ার পর সেই আবিষ্কার নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামানো কিন্তু চাকরি ছাড়ার পরের সময়টা খুব শোচনীয় ছিল তার, কারণ তখনকার অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে কিছু একটা করা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। চীনের অর্থনীতি তখন এতটাই পরিকল্পিত আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল যে সেখানে নতুন কিছু করে পয়সা কামানো ছিল অনেকটাই অসম্ভব, একটা চাকরি জোগাড় করেছিলাম ঠিকই।

 

তবে সেখানে তাল মিলাতে পারছিলেন না নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারছিলেন না যার কারণে তাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হল,  যখন তিনি ভাবে প্রতিষ্ঠা করলেন তখন তার বয়স ছিল ৪৪ বছর তার বিন্দুমাত্র কোন অভিজ্ঞতা ছিল না, ১৯৮৭ সালে তিনি একজন ছোট্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে যাত্রা শুরু করেছিল হয়েছিল মাত্র ২১ হাজার ডলার।

 

১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো বেসরকারি মালিকানায় কাম্পানি শুরু করার অনুমতি দিলো কিন্তু এটা কিভাবে শুরু করতে হয় কি লাগে না লাগে সেই ধারণা কারণ ছিলনা তখন পানির একার পড়েনি তিনি বেশকিছু বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পুরোপুরি তার বন্দোবস্ত করেছিলেন সরকারের কাছে তিনি তেমন কোনো সাহায্য বা সহযোগিতা পাননি।

 

শুরুতে হুয়াওয়ে একটি কোম্পানির কাছ থেকে বৈদ্যুতিক সুইচ কিনেছি বিক্রি করতো আর এখন ব্যবসায় ভালো করতে লাগল তখনই হুয়াওয়ে সেই কোম্পানির চিপ সাপ্লাই বন্ধ করে দিল, আর এটাই ছিল পূর্ব মেদিনীপুরে কোথায় শুভ সূচনা হবে তখন ভাবলো এবার নিজেদেরই শুরু করতে হব,।

 

এখান থেকেই নিজেদের পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করব দিনরাত সবাই মিলে কাজ করতে লাগবে শুরুর দিকে, এমন মাস দিয়েছে যে মাসে কর্মী মালিক কেউই জানে না খাওয়া বাদ দিয়ে শুধু কাজ করেছে , প্রথম দশ বছর কোম্পানি শুধু টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিল আর তার সকল কর্মীদের বলেছিলেন আমরা একদিন বিশ্বের সেরা কোম্পানির একটা হবে তার কথা কর্মীদের হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিলো ।

 

আর সেই বিশ্বাসে সবাই নিজেদের সক্ষমতা আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে করতে এত দূরে আমাকে যদি চিনই ও ১৯৮৮ সালের বেসরকারি কোম্পানি খোলার অনুমতি না দিতো, তাহলে কোনদিন প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারতো না আজকে দেখুন। হুয়াওয়ে সারা পৃথিবীতে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম একটা সেরা কোম্পানি।

 

আরও পড়ুনঃ শাওমি নিয়ে এলো তার ছাড়াই ১৯ মিনিটে পূর্ণ চার্জ দেবার প্রযুক্তি (ভিডিও) 

 

যে কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্ট এই কোম্পানির বড় বড় কার্যালয় পৌঁছে গেছে প্রায় ১৭০ টি দেশে যেখানে এক সময় মাত্র ১৫ ২০ জন মানুষ কাজ করত আজ সেখানে কাজ করছে প্রায় ২ লক্ষ লোক যেখানে ছিল মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার।

 

আজ সেই কোম্পানির ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল তাকে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছিলেন কোন রকম অভিজ্ঞতা। ছাড়াই উদ্ভাবনী চিন্তা আর কর্মচারীদের স্বপ্ন দেখিয়ে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গেছে মনে রাখবেন জীবনে তারাই সবার থেকে আলাদা যাদের আছে কিছু শুরু করার শক্তি সাথে সৎ সাহস ।

আপনার মতামত জানান

শেয়ার করুনঃ

খুজুন




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

© ২০২০ | নিউজ ইবিডি ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত 
Design BY NewsTheme